রাতের আঁধারে রাবির ৫ হলে কোরআন পুড়িয়েছে ‘দুর্বৃত্তরা’, তদন্তে প্রশাসনের কমিটি

 রাতের আঁধারে রাবির ৫ হলে কোরআন পুড়িয়েছে ‘দুর্বৃত্তরা’, তদন্তে প্রশাসনের কমিটি


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) গত ১১ জানুয়ারির রাতে একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে পাঁচটি হলে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানো হয়েছে। হলগুলো হলো সৈয়দ আমীর আলী হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল, মতিহার হল, মাদার বখ্শ হল এবং শহীদ জিয়াউর রহমান হল। এছাড়া হলের দেয়ালে বিভিন্ন চিহ্ন আঁকা হয়েছে। রোববার সকালে জিয়া হলে প্রথমবারের মতো পোড়া কোরআন দেখতে পেয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানায়। ধারণা করা হচ্ছে, এই ঘটনাগুলো শনিবার রাতে ঘটেছে। তবে কারা এই কাজ করেছে এবং তাদের উদ্দেশ্য কী, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।


সৈয়দ আমীর আলী হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, "সকালে হলের মুক্তমঞ্চে পোড়ানো কোরআন শরীফ দেখতে পাই এবং বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনকে জানাই। এটি একটি ইচ্ছাকৃত উস্কানিমূলক ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। কেউ হয়তো সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা করছে।" তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।


সৈয়দ আমীর আলী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক হারুনর রশীদ বলেন, "কোনো ধর্মের প্রতি এমন অবমাননা সহ্য করার মতো নয়। হল প্রশাসন এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে এবং বিষয়টি উপাচার্যকে জানানো হয়েছে। যারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করছে, তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।"


এই ঘটনার পর ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন এবং জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি করছেন। বিকেল ৩টা থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ শুরু করেছেন।

Popular posts from this blog

Top Technology Trends of 2025: From Artificial Intelligence to the Metaverse

Singer Linda Nolan dies 'embraced with love' with siblings by her side

Trump announces plans for a meeting with Putin to resolve the ‘bloody mess’ of the Ukraine conflict.